নদী বিধৌত নবীনগর উপজেলার এক নিভŲত পল্লী হলো ইব্রাহিমপুর। এই এলাকার সাথে জড়িয়ে আছে এক মনীষীর নাম! তিনি শাহ্ সুফি সৈয়দ আজমত উল্লাহ (র:) শতাব্দিকালাধিক পূর্বে সুদূর ঢাকার আজিমপুর দায়রা শরীফ থেকে এক মহান মিশনকে সামনে রেখে তিনি অত্র এলাকায় পদার্পণ করেন। মিশনটি হলো মুসলিম সমাজ থেকে কুসংস্কার, ভন্ডামি এবং অপসংস্কৃতি বিদুরিত করা। এ লক্ষ্যে তিনি প্রবর্তন করেন ১১ রবিউসসানি ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম মাহফিল। নিজ ভক্ত-অনুরক্তদের মাঝে ইসলামের সঠিক রূপ পরিগ্রহ করানোর লক্ষ্যে তিনি আজীবন সাধনা করেছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর এ মহান দায়িত্ব কাধে তুলে নেন তাঁরই প্রিয় দৌহিত্র সৈয়দ দায়েম উল্লাহ (র:)। তিনি অত্র এলাকার এতিম-দুস্থদের কল্যাণে আশির দশকের মধ্যভাগে ইব্রাহিমপুর খানকাহ্ মসজিদের পার্শ্বে গড়ে তোলেন ইব্রাহিমপুর সৈয়দ আজমত উল্লাহ (র:) এতিমখানা যেখানে অসংখ্য অনাথ শিশুর মাথা গোজাঁর সুযোগ হয়। পরবর্তীতে আশির দশকের শেষান্তে বর্তমান স্থানে এতিমখানাটি স্থানান্তরিত হয়। ধী-শক্তি সম্পন্ন সৈয়দ দায়েম উল্লাহ (র:) লক্ষ্য করলেন যে শুধুমাত্র মাহফিল ও এতিমখানা মাধ্যমে অত্র এলাকা থেকে কুসংস্কার, অশিক্ষা, কপটতা দূরীভূত করা সম্ভব নয় বরং এমন এক স্থায়ী প্রদীপ স্থাপন করা জরুরী যার জ্যোতি আলোড়িত করবে আপামর জনসাধরণকে। সেই অমোঘ প্রদীপটিই হলো আজকের সুফিয়াবাদ শাহ্ সুফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (র:) ফাজিল মাদ্রাসা। ১৯৮৭ সালে আপন পিতামহের নামানুসারে তিনি এ মহান বিদ্যানিকেতনটি প্রতিষ্ঠা করেন।